Friday, November 1, 2019

শীতের সকাল-রাকিব দেওয়ান



শীতের সকাল মানেই
পৌষ আর মাঘ
শীতের সকাল মানেই
কুয়াশায় ডাকা চারিদিক।
শীতের সকাল মানেই
শাপলা ফোটা ঝিল।

হিমশীতল বাতাসে
চতুষ্পদ জন্তুগুলো
কাপে দিক বেদিক।
উষ্ণতা  খুঁজে বেড়ায়
আগুন কোথায় জ্বেলেছে?

শীতের সকাল মানেই
যেন সূর্যি মামার আড়ি,
মা বলে খোকা তুমি
বের হয়োনা সাতসকালে
ঠাণ্ডা তোমায় ধরবে এসে
কুঝো বুড়ো হবে শেষে।
ছোট্ট শিশুর চেচামেচি
বের হতে চাই তাড়াতাড়ি
খেলতে চাই বন্ধুর সাথে
আগুন জ্বেলে সাতসকালে।

Thursday, September 12, 2019

বলা হয়নি তোমায় - মোঃ সবুজ ভূঁইয়া


বলা হয়নি তোমায়-
চাঁদনী রাতে মেঘের আড়ালে
লুকিয়ে থাকা চাঁদের আলো যখন,
আমার চোখে এসে পড়ে
সেই আলোতে আমি
তোমায় দেখতে পাই।

বলা হয়নি তোমায়-
আবারো শ্রাবণে যখন
আকাশ-বাতাস প্রকম্পিত
হয়ে বৃষ্টি পড়ে
বৃষ্টির সেই রুমঝুম ছন্দে
তোমার প্রতিধ্বনি শুনতে পাই।

বলা হয়নি তোমায়-
কোনো এক অজানা সৈকতে
উদ্দেশ্যহীন চলার পথে
শীতল ঢেউ যখন আমার
নগ্ন পা ছুঁয়ে যায়
আমি তোমার স্পর্শ খুঁজে পাই।

নিজের অজান্তে হয়তো আজ
তোমায় সব বলে দিলাম
তবে মুখ ফুটে নয়
মনের ভাষায়।

জানি তুমি ঠিক বুঝে নিবে
রইলাম প্রত্যাশায়।

২০-০২-১৯ ইং

Tuesday, September 10, 2019

রাজনীতি বিজ্ঞান ফুটবল টুর্নামেন্ট

তোরা মেঘ দেখে কেও করিসনে ভয়
আড়ালে তার সূর্য হাসে।।
Gladiators-54😍😍
Runners up😍😍
PS football tournament 2019







সুকর্ণ মধ্যক- শেখ রফিকউজ্জামান



চারদিকে ফার্স্ট বেঞ্চার আর ব্যাক বেঞ্চারদের সাফল্যগাথা আর জয়জয়কার দেখে আমি প্রতিদিন পণ করি যে ফার্স্ট বেঞ্চার ত হতে পারবো না। তবে এখন থেকে আমি ব্যাক বেঞ্চার হবো। তাই ত প্রতিদিন ঘুমের বাহানা দিয়ে ইচ্ছে করে নয়টার ক্লাস মিস দিই আর ষোলশহর থেকে নয়টা পঁয়তাল্লিশ এর ট্রেনে করে আস্তেধীরে ক্যাম্পাসে যায়। তারপর ক্যান্টিনে আরাম করে ২৮ টাকা দিয়ে সবজি খিচুড়ির সাথে আলাদা করে কোপতা নিয়ে খাই এরপর চায়ের কাপে ঝড় তুলে ( চা টা মাঝেমধ্যে কঞ্জুস আসাদ না হয় সাকিব স্পনসর করে) । চায়ের কাপের তলানির অবশিষ্ট অংশটুকু চুকচুক করে পান করে ক্লাসে যাওয়ার প্রয়োজন অনুভব করি। এই যে আমার ক্লাসে যাওয়া এর পেছনে কিন্তু এক এবং অনন্য উদ্দেশ্যই জড়িত আর সেটি হচ্ছে আমাকে ব্যাক বেঞ্চার হতে হবে৷ কিন্তু ক্লাসে প্রবেশ  করতেই আমার  সকল আশা হতাশায় পরিণত হয়। তখনি আমি বুঝতে পারি যে আমি এখনো খরগোশ আর কচ্ছপের গল্পের অহংকারী অথচ বোকা খরগোশটিই রয়ে গেলাম। এ কথা কেন বলছি জানেন??? কারণ হল আমি ক্লাসে প্রবেশ করলেই দেখতে পাই ইতোমধ্যে ক্লাসের প্রথম এবং শেষের অংশ পূরণ হয়ে গেছে৷ অবশিষ্ট আছে শুধুই মধ্যাংশটুকু। দীর্ঘ এক নিঃশ্বাস ফেলে আমি এক রাশ বেদনা নিয়ে  মাঝের কোন এক জুতসই বেঞ্চ দেখে বসে পড়ি।

জিইইই হ্যা এটাই হলো একজন মধ্যম পর্যায়ের ছাত্রের গল্প। জানেন এই মধ্যম পর্যায়ের ছাত্ররা না সবকিছুতেই মধ্যম হয় ; সবকিছু বলতে সবকিছুতেই। এরা পরীক্ষায় কোনরকম টেনেটুনে তেত্রিশ পেয়ে নিশ্চিত ফেলের হাত থেকে বেঁচে গিয়ে পাশ করা ব্যাক বেঞ্চার এর মতো আনন্দে আত্নহারাও হতে পারে না কিংবা ১০০ তে এক নম্বর কম পেয়ে অর্থাৎ ৯৯ পাওয়ার কারণে ফার্স্ট বেঞ্চার এর মতো কেঁদে বুক ভাসাতেও পারে না। এরা সবসময় দ্বিধায় আক্রান্ত৷ আমি বাপু অদৃষ্টবাদী মানুষ  তাই ত নিজের ব্যর্থতা গুলোকে ভাগ্য বলে দায় এড়ায়

প্লেটোর রাষ্ট্রচিন্তা


প্রশ্নঃ প্লেটো তার রিপাবলিক গ্রন্থে আদর্শ রাষ্ট্রের যে রূপরেখা অঙ্কন করেছেন তা সমালোচনা সহকারে আলোচনা করো। 

 উত্তরঃ
ভূমিকাঃ পৃথিবীর ইতিহাসে গ্রিক নগররাষ্ট্রসমূহের অভ্যুদয় বিশেষ বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত । গ্রিসের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নগররাষ্ট্র এক সময় যুদ্ধে লিপ্ত ছিল । সে সময় কোনাে রাজ্যেই রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ছিল না । তৎকালীন গ্রিনের সামাজিক ও রাজনৈতিক অরাজকতার প্রেক্ষিতে The Republic ' গ্রন্থে প্লেটো একটি সুন্দর জীবনের প্রত্যাশা করেছেন । তার মতে , সুন্দর জীবনের জন্য প্রয়ােজন সুন্দর পরিবেশ এবং তা পাওয়ার জন্য দরকার পূর্ণাঙ্গ একটি সমাজব্যবস্থা । গ্রিক দার্শনিক প্লেটো তার The Republic ' গ্রন্থে এই অবস্থার প্রেক্ষাপটেই একটি ন্যায়ভিত্তিক আদর্শ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কথা চিন্তা করেছেন । বস্তুত , প্লেটোর রাজনৈতিক চিন্তার মূল উদ্দেশ্যই ছিল একটি আদর্শ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা ।

প্লেটোর আদর্শ রাষ্ট্রের উৎপত্তি:  প্লেটো ঘটনা , সময় , অবস্থা ও পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে আদর্শ রাষ্ট্রের উৎপত্তির । কথা বলেছেন । প্লেটোর সময়ে গ্রিসের নগর রাষ্ট্রগুলাে পরস্পর যুদ্ধে লিপ্ত ছিল । প্রকৃতপক্ষে কোনাে রাজ্যেই রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ছিল না । গ্রিসের এ ব্রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা দূর করার লক্ষ্যে প্লেটো তার বিখ্যাত গ্রন্থ ' The Republic ' এ একটি আদর্শ রাষ্ট্রের কাঠামাে বর্ণনা করেন । প্লেটো গ্রিসের তৎকালীন সামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থার প্রেক্ষিতে একটি সঠিক দিকনির্দেশনা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন । এ প্রচেষ্টার ফলাফলস্বরূপ প্রকাশিত হয় । বিখ্যাত গ্রন্থ ' দি রিপাবলিক ' । প্লেটো তার । The Republic " গ্রন্থে নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি ও চিন্তাপ্রসূত একটি রাষ্ট্রের পরিকল্পনা দিয়েছেন । তার ভাষায় এটি হলাে আদর্শ রাষ্ট্র । গেটোর মতে , আদর্শ রাষ্ট্র বাস্তবে সত্য নয় । বাস্তব সব সময় পরিবর্তনশীল বিধায় অস্থায়ী ও অসামঞ্জস্যহীন হয়ে থাকে । কোনাে বান্তর রাষ্ট্রই প্রকৃত রাষ্ট্রের দাবি করতে পারে না । কারণ তারা সার্বক্ষণিক সামাজিক , অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক দিক থেকে পরিবর্তিত হতে থাকে । প্রকৃতপক্ষে তিনি ন্যায় ও সুন্দর জীবনের বিকাশ ঘটাতেই আদর্শ রাষ্ট্রের উৎপত্তির কথা বলেছেন ।

 প্লেটোর আদর্শ রাষ্ট্র  : প্লেটোর রাষ্ট্রচিন্তার ধারণাটি যে দুটি ভিত্তির উপর দণ্ডায়মন তার একটি হলাে সুদর্শ রাষ্ট্র । এবং অন্যটি হলাে ন্যায়বিচার তত্ব । কিন্তু ন্যায়বিচার তত্ত্বটিকে আদর্শ রাষ্ট্রের ধারণা থেকে পৃথক করা যাবে না এ কারণে যে , এটি আদর্শ রাষ্ট্রের একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য । প্লেটো তার ' The Republic ' গ্রন্থের মধ্যে যে আদর্শ রাষ্ট্রের বর্ণনা করেছেন তা নির্দিষ্ট কোনাে রাষ্ট্রের ঐতিহাসিক বর্ণনা নয় । প্লেটো যে আদর্শ রাষ্ট্রের রূপরেখা দিয়েছেন তা বাস্তবে রূপায়িত করা সম্ভব কি - না সে সম্পর্কে তিনি বিশেষ মাথা ঘামান নি । তার মুখ্য উদ্দেশ্য হলাে , রাষ্ট্রের যথার্থ স্বরূপ বিশ্লেষণ করা । অধ্যাপক সেবাইন তার । ' AIListory of Political Theory ' গ্রন্থে বলেন , তিনি একটি আদর্শ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন যা কখনাে আদশ উগ্ধ । কিংবা আদর্শ বহির্ভূত প্রক্রিয়ায় কার্য সম্পাদনে সচেষ্ট ছিল । "

 প্লেটোর আদর্শ রাষ্ট্রের নীতিমালা: মহাজ্ঞানী প্লেটো আদর্শ রাষ্ট্রে উত্তম জীবন কামনা করেছেন । উত্তম জীবন । প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তিনি আদর্শ রাষ্ট্রের কল্পনায় কতিপয় নীতির কথা বলেছেন । নিম্নে এগুলাে আলােচনা করা হলাে :
( ১ ) অনৈশ্বর্য নীতিঃ আদর্শ রাষ্ট্রের প্রথম নীতি ঐশ্বর্য উপেক্ষা করা । প্লেটোর মতে , আদর্শ রাষ্ট্রে কোনাে প্রকার প্রাচুর্য ও ঐশ্বর্য থাকবে না । প্রাচুর্য বা ঐশ্বর্য থাকলে মান্য কর্মে অনীহা প্রকাশ করবে । তার মতে , ঐশ্বর্যবিহীন রাষ্ট্র উত্তম রাষ্ট্র ।
( ২ ) কর্মপরিধি নীতি: প্লেটোর আদর্শ রাষ্ট্রে কর্মপরিধির নীতি অনুসৃত । তিনি প্রত্যেক ব্যক্তির স্ব - স্ব কর্মপরিধির ১ কথা বলেছেন । আর দার্শনিক রাজাই প্রত্যেকের কর্মপরিধি নির্ধারণ করবেন । প্রত্যেক ব্যক্তি যাতে নিজ নিজ কর্ম সম্পাদন করেন শাসকগণ তার প্রতি তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখবেন ।
( ৩ ) আয়তন বিধি : প্লেটো তার আদর্শ রাষ্ট্রে সুনির্দিষ্ট আয়তন বিধির কথা বলেছেন । তিনি কর্মপরিধির সাথে সাথে রাষ্ট্রের আয়তন বিধির কথাও বলেন । তার মতে , রাষ্ট্রের আয়তন খুব বেশি হবে না । কেননা রাষ্ট্রের আয়তন বেশি হলে বিভিন্ন । সমস্যা দেখা দেয় । তাই রাষ্ট্রের আয়তন হতে হবে মধ্যম প্রকৃতি ।
( ৪ ) শিক্ষানীতি : প্লেটোর আদর্শ রাষ্ট্রে একটি শিক্ষানীতি বিদ্যমান ছিল । তিনি আদর্শ রাষ্ট্র গঠনকল্পে শিক্ষানীতির উপর অধিক গুরুত্ব আরােপ করেছেন । তিনি বলেন , অনুসৃত শিক্ষানীতি হবে মানব চরিত্র গঠনের একমাত্র উপায় ।

প্লেটোর আদর্শ রাষ্ট্রের রুপরেখা / কাঠামোঃ
 নিম্নেপ্লেটোর আদর্শ রাষ্ট্রের রূপরেখা / কাঠামাে সম্পর্কে আলােচনা করা হলােঃ
 ( ১ ) রাষ্ট্রের উদ্ভব : প্লেটো রাষ্ট্রের উদ্ভব প্রসঙ্গে বলেন , রাষ্ট্র পাশবিক শক্তির ফলশ্রুতি নয় । মানুষের প্রয়ােজনের তাগিদেই রাষ্ট্র গঠিত হয় । মানুষের জীবনের নানাবিধ সমস্যা এবং আশা - আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য পরস্পরের সাহায্য সহযােগিতার প্রয়ােজন হয় এবং এ প্রয়ােজনের তাগিদেই সৃষ্টি হয় রাষ্ট্রের । এ প্রসঙ্গে প্লেটো বলেন , " রাষ্ট্র কোনাে এক বৃক্ষ বা শিলা থেকে উৎপন্ন হয় নি , মানুষের মনেই এর উৎপত্তি এবং মানুষের মনেই এর বাস । " |
( ২ ) মানুষের শ্রেণীবিন্যাস : রাষ্ট - যেহেতু মানব মনেরই ফলস্বরূপ , সেহেতু প্রেটো মানুষ ও রাষ্ট্রের প্রকৃতিতে সাদৃশ্য দেখতে পান । তিনি মানবাত্মার তিনটি প্রবণতা লক্ষ করেন । যথাঃ ( ক ) প্রজা বা যুক্তিবােধ ; ( খ ) সাহস বা শৌর্য - বীর্য এবং ( গ ) ভােগস্পৃহা । মানব মনের তিন প্রকার প্রবণতাকে ভিত্তি করে প্লেটোর আদর্শ ব্রাষ্ট্রে তিনটি শ্রেণীর উদ্ভব হয় । নিম্নে এ তিনটি শ্রেণী সম্পর্কে আলােচনা করা হলাে।
( ক ) অভিভাবক বা শাসক শ্রেণী: সমাজের কল্যাণার্থে ও আদর্শ রাষ্ট্রের ভিত্তিরূপে অধিষ্ঠিত থাকবে যুক্তিবাদী । আত্মার ধারক অভিভাবক বা শাসক শ্রেণী । তারা দার্শনিক রাজার সাহায্যার্থে নিয়ােজিত থাকবে । তারা আদর্শ রাষ্ট্রের অভিভাবক । এ অভিভাবক শ্রেণী পরিণত বয়সের জ্ঞানবান ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত হবে । অভিভাবকগণ জ্ঞানচর্চা করবে । প্লেটো মনে করতেন , যাদের উপর জনসাধারণের মঙ্গলের ভার ন্যস্ত থাকে তাদের যদি পরিবার ও সম্পত্তি থাকে তবে তাঁরা নির্লোভ ও নিরপেক্ষভাবে শাসনকার্য চালাতে পারবে না । তাই প্লেটো তাদের পরিবার ও সম্পত্তির অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছেন ।
( খ ) যােদ্ধাশ্রেণী: বহিঃশত্রুর আক্রমণ থেকে রাষ্ট্রকে রক্ষা করা এবং আইন - শৃঙ্খলার স্বার্থে একদল সুশিক্ষিত ও দায়িত্বশীল সৈনিকের প্রয়ােজন । তাই এ শ্রেণীর লােকেরা রাষ্ট্রের প্রতিরক্ষার দায়িত্বে নিযুক্ত থাকবে । উক্ত দায়িত্বসমূহ যথাযথ পালনে তারা শিকারি কুকুরের ন্যায় মিত্রের প্রতি মিত্রসুলভ এবং শক্রর প্রতি শক্রসুলভ আচরণ করবে । যুদ্ধকাৰ্য ব্যতীত তাদের অন্য কোনাে কাজ থাকবে না । বাল্যকাল থেকেই তাদের যুদ্ধবিদ্যায় পারদর্শী করে তুলতে হবে । কোনাে ব্যক্তিকে সেনাবাহিনীতে নিয়ােগের পূর্বে তার যােগ্যতা , মানসিক প্রবণতা ইত্যাদি পরীক্ষা করে দেখতে হবে । এ শ্রেণী রাষ্ট্রশাসনে অভিভাবকদের সহায়তা করবে এবং সাম্যবাদের অন্তর্ভুক্ত থাকবে ।
( গ ) উৎপাদক শ্রেণী: মানবাত্মার সর্বনিম্ন অংশের বৈশিষ্ট্য যেমন ক্ষুধা তদ্রপ রাষ্ট্র - দেহের সর্বনিম্ন স্তরে প্রবৃত্তির ধারক উৎপাদক শ্রেণীর অবস্থান । তারা প্রয়ােজনীয় খাদ্য , বস্ত্র ও দ্রব্যসামগ্রী উৎপাদন ও সরবরাহ করে মানবের নিত্যনৈমিত্তিক প্রয়ােজন মেটানাের দায়িত্ব গ্রহণ করবে । এ শ্রেণী সকল প্রকার রাজনৈতিক অধিকার থেকেও বঞ্চিত হবে । এক্ষেত্রে প্লেটোর সতর্কবাণী হলাে , পরিজনের সংখ্যা খাদ্যের পরিমাণকে অতিক্রম করবে না । সুস্বাদু এবং শক্তিশালী খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে দীর্ঘ জীবন লাভ করবে এবং পরিণত বয়সে সন্তানদের জন্য অনুরূপ জীবনের উত্তরাধিকারী করে রেখে যেতে হবে ।
( ৩ ) ন্যায়নীতি: প্লেটোর আদর্শ রাষ্ট্র তার ন্যায় ধর্মের ধারণা থেকে গৃহীত হয়েছে । ন্যায় ধর্মের সাথে তার আদর্শ । রাষ্ট্রের নিবিড় সম্পর্ক বিদ্যমান । যে ব্যক্তি যে কাজের জন্য সর্বাপেক্ষা যােগ্য ও সর্বোত্তম তাকে সেই কাজের দায়িত্ব অর্পণ করাই ন্যায়নীতি । এ ন্যায়নীতির উপর ভিত্তি করেই রাষ্ট্রের শ্রমবিভাজন সম্পন্ন হয় , যা বিশ শতকের অর্থনৈতিক তত্ত্বে বিশেষ শুরুত্ব লাভ করে । প্লেটো ন্যায়নীতির ব্যাখ্যায় বলেন , “ সমাজের প্রত্যেক ব্যক্তি যদি অন্যের কাছে হস্তক্ষেপ না করে তবে একদিকে কাজ যেমন সুষ্ঠুভাবে সম্পাদিত হবে , অন্যদিকে তেমনি সমাজ থেকে বিশৃখলা দূরীভূত হয়ে সমাজে ঐক্য ও সংহতি প্রতিষ্ঠিত হবে । ” তাই ন্যায়নীতি প্লেটোর আদর্শ রাষ্ট্রের মূলভিত্তি ।
( ৪ ) শিক্ষানীতি:  প্লেটোর দর্শনের মূলমন্ত্র হলাে ' Knowledge is virtue ' আর শিক্ষাই পুণ্য অর্জনের একমাত্র মাধ্যম । প্লেটো তার আদর্শ রাষ্ট্র গঠনের জন্য শিক্ষার উপর অত্যধিক গুরুত্বারােপ করেছেন । তিনি তার The Republic ' গ্রন্থে শিক্ষানীতির উপর এত গুরুত্বারােপ করেছেন যে , শিক্ষা সম্বন্ধে অন্য কোনাে দার্শনিক তা করেন নি । তিনি বুষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত বাধ্যতামূলক শিক্ষাব্যবস্থা প্রবর্তন করেন । শিক্ষাকেই প্লেটো শ্রমবিভাগের ভিত্তি হিসেবে স্থাপন করেছেন । শিক্ষার মাধ্যমে যােগ্যতা যাচাই করে তিনি অভিভাবক ও যােদ্ধা শ্রেণীর লােক নির্বাচনের পদ্ধতি নির্ধারণ করেছেন । প্লেটোর শিক্ষা পদ্ধতি সম্বন্ধে অধ্যাপক আনেন্ট বার্কার বলেছেন , “ এটি মানসিক ওষুধের মাধ্যমে মানসিক ব্যাধি দূরীকরণের একটি প্রচেষ্টা । অধ্যাপক সেবাইনের মতে , “ রাজনীতিবিদদের পথ - নির্দেশ করার জন্য সাম্যবাদু অপেক্ষা শিক্ষার উপরই প্লেটো অধিক আহা স্থাপন করেন । ”

( ৫ ) দার্শনিক রাজা: প্লেটোর মতে , যারা অত্যধিক জ্ঞানী , বিবেক - বুদ্ধিসম্পন্ন এবং শাসন করার ক্ষমতার অধিকারী তারা হচ্ছেন দার্শনিক রাজা । এ দার্শনিক রাজাই হবেন আদর্শ রাষ্ট্রের কর্ণধার । দার্শনিক রাজার শাসনকার্যে প্লেটো এত নিশ্চিত ছিলেন যে , তিনি তাকে আইন দ্বারা সীমিত করেন নি । বস্তুত দার্শনিক রাজা জ্ঞানের সাধক , সত্যের দিশারি , ন্যায়ের অবতার । লােভ - লালসা তাদের চরিত্রকে কখনাে কলুষিত করে না , ভয় - ভীতি তাদের কর্তব্য কার্য থেকে বিচ্যুত করে না । তাদের চরম ও পরম কামনা রাষ্ট্রের কল্যাণে নিজেদের সর্বতােভাবে উৎসর্গ করা । তিনি বলেন , “ পুরাে জনগােষ্ঠী দার্শনিক হতে । পারবে না । " প্লেটো বিশ্বাস করতেন যে , দার্শনিক রাজা ছাড়া রাষ্ট্রের উন্নতির কোনাে সম্ভাবনা নেই ।

( ৬ ) সাম্যবাদ: প্লেটো তার আদর্শ রাষ্ট্র বাস্তবায়ন ও ন্যায়ধর্ম প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অপরিহার্য শর্ত হিসেবে অভিভাবত শ্রেণীর জন্য এক অভিনব সামাহা প্রবর্তন করতে চেয়েছেন । তিনি অভিভাবক শ্রেণী অর্থাৎ শাসক ও যােদ্ধা শ্রেণীর জন্য এমন নতুন সাম্যবাদী ব্যবহার প্রবর্তন করতে সক্ষম হন যাতে তারা পরিবার এবং ব্যক্তিগত সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হবেন । সুদঢ় রাষ্ট্রীয় ঐক্য গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে শসিকবর্গের সকল ব্যক্তিগত লােভ - লালসা দূর করাই প্লেটোর সাম্যবাদের একমাত্র লক্ষ্য ।

সমালােচনা: প্লেটোর আদর্শ রাষ্ট্রতত্ত্বটি বিভিন্নভাবে সমালােচিত হয়েছে । প্লেটোর আদর্শ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উত্থাপিত সমালােচনাসমূহ নিম্নে প্রদত্ত হলাে:

 ( ১ ) ব্যক্তিসত্তা বিসর্জন: আদর্শ রাষ্ট্রে প্লেটো রাষ্ট্র ও ব্যক্তির মধ্যে অধিক উপমা স্থাপন করেন । তিনি রাষ্ট্র ও ব্যক্তিকে একীভূত করে ফেলেছেন । বস্তুত রাষ্ট্র ও ব্যক্তি পৃথক জিনিস । তিনি ব্যক্তিসত্তাকে রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্বের বেদিমূলে বিসর্জন নিয়েছেন ।
( ২ ) রাজনীতির সাথে নীতিশাস্ত্রের পার্থক্য: প্লেটো তার কল্পিত আদর্শ রাষ্ট্রে রাজনীতির সাথে নীতিশাস্ত্রের পার্থক্য নির্ণয় হ্রতে সক্ষম হন নি ।
( ৩ ) উৎপাদক শ্রেণীকে অবহেলা:  রাষ্ট্রের বৃহৎ শ্রেণী অর্থাৎ উৎপাদক শ্রেণীকে প্লেটোর আদর্শ রাষ্ট্রে চরম অবহেলারা হয়েছে । তাদের সামাজিক মর্যাদা না দিয়ে শুধু ভােগ্যবস্তুর উৎপাদনকারী হিসেবে গণ্য করা হয় ।
( ৪ ) মানব প্রকৃতির বিরুদ্ধাচরণ : প্লেটো তার আদর্শ সমাজব্যবস্থায় অভিভাবক শ্রেণীর জন্য পরিকল্পিত সাম্যবাদের দ্বারা মানব প্রকৃতির বিরুদ্ধাচরণ করেছেন ।
( ৫ ) ব্যক্তিত্ব খর্ব : প্লেটোর আদর্শ রাষ্ট্রের মূলনীতি " বাষ্ট্রের জন্য ব্যক্তি , ব্যক্তির জন্য রাষ্ট্র নয় । প্লেটোর নাততে মানুষকে ব্যক্তিত্ব বিকাশের সুযােগ থেকে বঞ্চিত করার ফলে ব্যক্তিত্ব খর্ব হয়ে যায় ।
 ( ৬ ) দার্শনিক রাজার অতিরিক্ত প্রশংসা : তিনি দার্শনিক রাজার বিচা - বছিৱ অতিরিক্ত প্রশংসা করেছেন । | তাদের তিনি ধার্মিক , সৎ ও ন্যায়পরায়ণ বলেছেন , কিন্তু তাদের চরিত্রের কথা মােটেই উল্লেখ করেন নি ।
( ৭ ) দার্শনিক রাজার স্বৈরাচারী ক্ষমতা : প্লেটো দার্শনিক রাজার উপর চরম ক্ষমতা আরােপ করে তাকে আইনের উর্বে স্থান দিয়েছেন । দার্শনিক রাজাদের এরূপ স্বেচ্ছাচারী ক্ষমতা তাদের নিজেদের মর্যাদাহানি করে তুলেছে ।

 (৮) অবাস্তব কল্পনা: প্লেটোর আদর্শ রাষ্ট্র একটি অবাস্তব কল্পনা ছাড়া আর কিছুই নয় । তিনি নিজেই বলেন , যে দার্শনিক রাজার উপর রাষ্ট্রের শাসনভার ন্যস্ত হবে তাদের সন্ধান একমাত্র স্বর্গরাজ্যেই মিলবে ।
( ৯ ) সংবিধানের অনুপস্থিতি : প্লেটোর আদর্শ রাষ্ট্রে কোনাে সংবিধানের ব্যবস্থা নেই । অর্থাৎ এতে সংবিধানের অনুপস্থিতি লক্ষ করা যায় ।
( ১০ ) রাষ্ট্রতত্ত্ব বিনষ্ট : রাষ্ট্রে মাত্রাতিরিক্ত ঐক্য স্থাপন করতে গিয়ে তিনি রাষ্ট্রতত্ত্বকে বিনষ্ট করেছেন । উপসংহারঃ উপরিউক্ত আলােচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে , প্লেটোর আদর্শ রাষ্ট্র মতবাদ কিছুটা কল্পনাপ্রসূত বা অসামঞ্জস্য পরিলক্ষিত হলেও দৃঢ়ভাবে বলা যায় যে , তার আদর্শ রাষ্ট্রের ধারণা অন্যায় , অবিচার ও কুশাসনের বিরুদ্ধে এক শক্তিশালী প্রতিবাদ হিসেবে আলােড়ন সৃষ্টি করেছে । তার রাষ্ট্র সম্পর্কিত মতবাদ বর্তমানকালের রাষ্ট্রচিন্তায় গভীরভাবে প্রভাব । বিস্তার করে আছে । তার আদর্শ রাষ্ট্রের কিছু কিছু বৈশিষ্ট্য পৃথিবীর প্রায় অনেক দেশেই অনুসরণ করা হয় । আজো আমরা । বিবেকবান ও নিঃস্বার্থ শাসকের সন্ধান করি যিনি অন্যের কল্যাণে নিবেদিতপ্রাণ । সুতরাং প্লেটোর আদর্শ রাষ্ট্র অত্যন্ত যৌক্তিক । ও কার্যকর একটি রাষ্ট্রচিন্তা মতবাদ।

Sunday, September 8, 2019

1st year Syllabus - Dept Of Political Science


Department of Political Science 
University of Chittagong 
Syllabus for the Integrated B.S.S. (Honours) 
Program Session : 2017-2018 and 2018-2019 

Total Marks-750 First Year (Honours)
(Core Courses: 500 Marks, Non-Core Courses: 200 Marks) 

Course No   Title of the Courses 
POL-101     Ancient and Medieval Political Theory
POL-102    Government and Politics in British India and Pakistan (1757-1971)
POL-103    Introduction to Law
POL-104    Comparative Politics
POL-105    Politics of Western Countries
POL-106    Political Sociology ( None-Core)
POL-107    Political Anthropology ( None-Core)
ENG-001   English Course

(700 marks and 100 marks in English)
Tutorial 15
Class Attendance 10
Viva-Voce 25
Total 850

চবি সমাজবিজ্ঞান অনুষদ পরিচিতি



দেশের আর্থসামাজিক সমস্যা - সংশ্লিষ্ট চ্যালেঞ্চ মােকাবিলায় প্রয়ােজন সমাজবিজ্ঞান শিক্ষার ব্যাপক সম্প্রসারণ ও উরি অনুসন্ধানমূলক সামাজিক গবেষণা পরিচালনা করা । সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রভিত্তিক গবেষণার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে প্রণীত হয় সুস্পষ্ট নীতি । আর এই নীতির প্রতিফলন ঘটে বিভিন্ন আর্থসামাজিক পরিকল্পনায় । ক্ষেত্রভিত্তিক সুস্পষ্ট আর্থসামাজিক পরিকল্পনাই এ ক্ষেত্রে লক্ষ্যভূত জনগােষ্ঠির উন্নয়নে ফলপ্রসূ কার্যক্রম ও কর্মসূচি প্রণয়নে সহায়তা করে । সামাজিক বিজ্ঞান চর্চার মাধ্যমে জাতীয় , আঞ্চলিক ও সামষ্টিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয় । গবেষণালব্ধ জ্ঞান বিতরণের মাধ্যমে পরিকল্পনাবিদ , নীতি প্রণয়নকারী ও প্রশাসকদের মধ্যে কার্য যােগাযােগ স্থাপন ব্রা সম্ভব হয় । অই সামাজিক বিজ্ঞান শিক্ষা একটি জাতি । কিবা দেশের জন্য অনিবার্য হয়ে ওঠে ।

 এ কারণেই , ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বের মানচিত্রে স্বাধীন বাংলাদেশের অ্যুদয়ের সাথে সাথে তিনটি বিভাগ নিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান অনুষদে আসা শুরু হয় । বিভাগ তিনটি হলাে ; অর্থনীতি বিভাগ , রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগ ও সমাজতত্ত্ব বিভাগ । বর্তমানে এই অনুষদ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অন্যতম বৃহৎ অনুষদ । এ অনুষদ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হিসেবে সমধিক পরিচিত ।

 দীর্ঘ পথপরিক্রমায় সমস্যা , সম্ভাবনা আর প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির দুরূহ সমীকরণের বাইরে ঐতিহ্যবাহী এই অনুষদ আলাের দীপ্ত শিখা প্রজ্বলিত রেখে জ্ঞান বিতরণের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মুক্তবুদ্ধি চর্চায় ও চেতনায় , বুদ্ধিদীপ্ত , সৃজনশীল ও মননশীল মানুষ হিসেবে গড়ে তুলছে । বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির এ যুগে নিজেদের গ্রন্থত করে জ্ঞান , প্রজ্ঞা ও আলােকসমৃদ্ধ উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণের মহান ব্রত নিয়ে সমাজবিজ্ঞান অনুষদ জাতিকে সর্বাধুনিক , মানসম্মত ও । উদারনৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত নতুন প্রজন্ম উপহার দিতে সদা সচেষ্ট আছে । কেবল গুণগত শিক্ষা ও গবেষণার মাধ্যমেই দেশে যােগ্য ও দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টি ও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা সম্ভব । জ্ঞান ও মেধানির্ভর শিক্ষাকার্যক্রমের মধ্যদিয়ে এ অনুষদ নিজেকে একটি বিশ্বমানের অনুষদ হিসেবে গড়ে তােলার সুন্দর পথে এগিয়ে চলছে ।

বর্তমানে অনুষদের অধীনে নয়টি বিভাগ চালু রয়েছে । যাত্রাকালীন তিনটি বিভাগসহ অন্যান্য বিভাগগুলাে হচ্ছে - লােকপ্রশাসন বিভাগ , নৃবিজ্ঞান বিভাগ , আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ , যােগাযােগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ , ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ ও ক্রিমিনােলজি এন্ড পলিশ । সায়েন্স বিভাগ । এছাড়া এ অনুষদের আওতায় সমাজবিজ্ঞান গবেষণা ইনস্টিটিউট ও ‘ এক্সিলেন্স । ইন টিচিং এন্ড লার্নিং ' নামে একটি সেন্টার রয়েছে ।

প্রখ্যাত রাষ্ট্রবিজ্ঞানী প্রয়াত প্রফেসর ড . আর . আই . চৌধুরী সর্বপ্রথম এ অনুষদের ডিনের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন । পরবর্তীকালে খ্যাতিমান অর্থনীতিবিদ প্রফেসর মুহাম্মদ সিকান্দার খান । বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানী প্রফেসর ড . অনুপম সেন , লােকপ্রশাসন বিশেষ প্রফেসর ড . এম . । আনিসুজ্জামানসহ দেশবরেণ্য শিক্ষকেরা অনুষদভিনের দায়িত্ব পালন করেন । বর্তমানে বিজ্ঞান । বিভাগের প্রফেসর ও ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ড . ফরিদ উচিত । আহামেদ অনুষদের ডিনের দায়িত্ব পালন করছেন ।

Friday, September 6, 2019

দেওয়ানী ও ফৌজদারি আইন- কোর্স নং ১০১


লেখাঃ রিয়াদ বিন ইসলাম
Topics: Criminal Law & Civil Law
ফৌজদারী আইনঃ
Criminal শব্দটির উৎপত্তি হয়েছে ল্যাটিন শব্দ crimin থেকে যার অর্থ অভিযুক্তকরন সম্পর্কিত।ফৌজদারী শব্দটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে মুলত দেওয়ানি,রাজনৈতিক অথবা সামরিক আইনের বিপরীতে।
ফৌজদারী আইন হলো আইনের সে অংশ যা ফৌজদারী অপরাধ গুলোর শাস্তি নিয়ে কাজ করে।সাধারণত ফৌজদারী  হলো সেগুলো যেগুলো সরকার জননিরাপত্তার বিরুদ্ধে করা হয়।
ফৌজদারী কার্যবিধির ব্যাখ্যাঃ
ফৌজদারী কার্যবিধি একটি পদ্ধতিগত দন্ড আইন যার উদ্দেশ্য হলো দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির মাধ্যমে অপরাধ দমন করা,যেহেতু এটা প্রকৃতিগতভাবে দন্ড আইন,সুতরাং এটি অবশ্যই অপরাধীর অনুকুলে ব্যাখ্যা দিতে হবে।অর্থাৎ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে যদি কখনো অস্পষ্টতা বা  পরিস্থিতির উদ্ভব হয়,তাহলে এই কার্যবিধিটি অবশ্যই অপরাধীর পক্ষে ব্যাখ্যা করতে হবে।
ফৌজদারী অপরাধ সমূহঃ
.কাহারও শরীরে আঘাতের মাধ্যমে সন্ত্রাসী কাজ করা।
.দলবদ্ধ হয়ে কাউকে হত্যা করা।
.কাউকে হত্যা করা।
.চুরি করার উদ্দেশ্যে কাহারও ঘর ভাঙা।
.ঘুষ দেয়া বা নেয়া।
.কাউকে অপহরণ করা
.ডাকাতি করা ইত্যাদি।


দেওয়ানী আইনঃ
দেওয়ানী আইন হলো সেই আইন যা indevisual দের মধ্যে Organisations গুলোর মধ্যে বা Indevisual Organisations এর মধ্যে সমস্যা বা নৈরাজ্য সম্পর্কে আলোচনা করে।যেখানে ভুক্তভোগীকে ক্ষতিপূরণ দিতে হয় অপরাধী কে শাস্তি প্রদান করা হয় না বরং জরিমানা দিতে হয়,যেমন কোনো ধরনের অপকর্ম করা,অথবা জমিজমা নিয়ে বিরোধের মামলা ইত্যাদি।
ফৌজদারী অপরাধের শাস্তিঃ
.অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আদালত কর্তৃক কারাদণ্ড প্রদান করা হয়ে থাকে।
.অভিযুক্ত ব্যক্তি সরকারকে জরিমানা প্রদান করে থাকে
.আদালত কর্তৃক অভিযুক্ত ব্যক্তিকে মৃত্যুদন্ড দিতে পারে।
দেওয়ানী অপরাধের শাস্তিঃ
.অভিযুক্ত ব্যক্তি আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ক্ষতিপূরন দিবে
.আদালত কর্তৃক বিচারের মাধ্যমে তার উপর বিভিন্ন ধরনের নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে।

দেওয়ানী আইন ফৌজদারী আইনের পার্থক্যঃ
)সংজ্ঞাগতঃ
দেওয়ানী আইন হলো যা ব্যক্তিকেন্দ্রিক অথবা প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রিক অথবা ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান উভয় কেন্দ্রিক সমস্যা বা নৈরাজ্য আলোচনা করে,যেখানে ক্ষতিগ্রস্তকে ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে হয়।
অন্যদিকে ফৌজদারী আইন হলো যে আইনগুলো সরকার জননিরাপত্তার বিরুদ্ধে করা কাজ এর জন্য শাস্তির বিধানস্বরুপ প্রনয়ণ করা হয়।
)উদ্দেশ্যগত পার্থক্যঃ
দেওয়ানী আইনের উদ্দেশ্যগুলো হলো মানুষের একে অন্যের সাথে যে ব্যক্তিগত সম্পর্ক থাকে সেখানে সততা বা সুবিচার প্রতিষ্ঠা করা,এবং সাথে সাথে এটা প্রমান করা যে তারা একে অপরের দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে না।
অপরপক্ষে ফৌজদারী আইনের উদ্দেশ্য হলো দেশে এবং সমাজের স্থিতিশীলতা রক্ষা করা অপরাধী কে শাস্তি দেয়ার মাধ্যমে, এবং অপরদিকে শাস্তি দেয়ার মাধ্যমে তাদের অন্যদের অপরাধমূলক কাজ হতে বিরত থাকা।
) সিদ্ধান্তগত পার্থক্যঃ দেওয়ানী আইনে বিবাদী দোষী বা দায়ী কিনা সে সম্পর্কে সিদ্ধান্ত প্রদান করেন জজ বা বিচারক।
অন্যদিকে ফৌজদারী আইনে বিবাদীর জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় জুরি বোর্ডের মাধ্যমে। অর্থাৎ এখানে কারো একা সিদ্ধান্তের মাধ্যমে রায় প্রদান করা হয়না। জুরি বোর্ডের সদস্যদের মাঝে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা সমালোচনা ইত্যাদির মাধ্যমে বিবাদীর অপরাধের শাস্তির রায় প্রদান করা হয়।
) শাস্তির বিধানঃ দেওয়ানী আইনে অপরাধীর অপরাধের জন্য বিবাদীর আর্থিক ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়ে থাকে, অথবা বিবাদীর উপর বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
অপরপক্ষে ফৌজদারি আইনে বিবাদী কে Custodial শাস্তি অর্থাৎ তাকে আদালত কর্তৃক সশ্রম কারাদণ্ড অথবা বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। দেওয়ানী মামলার অপরাধ যেমনঃ জমি জমা অথবা সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ। ফৌজদারী মামলার অপরাধ হত্যা,ধর্ষণ,খুন ইত্যাদি।
.ক্ষমতাগত পার্থক্য:
দেওয়ানী আদালতের নিজ থেকে সাক্ষ্য গ্রহনের কোন ক্ষমতা বা এখতিয়ার নেই ;পক্ষগন কর্তৃক অর্থাৎ বাদী বিবাদী কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে উপস্থাপিত সাক্ষের ভিত্তিতেই বিচারকদের মামলার সিদ্ধান্ত নিতে হয়।
অন্যদিক ফৌজদারী আদালতের নিজ থেকে সাক্ষ্য গ্রহনের কিছুটা ক্ষমতা রয়েছে যেমন ধারা ৫৪০ অনুযায়ী একজন ম্যাজিস্ট্রেট অনুসন্ধান বা বিচারকার্যের যে কোন স্তরে যে কোন সাক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদ বা সাক্ষ্য গ্রহন করতে পারেন যদি তা সংশ্লিষ্ট মামলার সুষ্ঠ তদন্তের জন্য প্রয়োজনীয় হয়।
.উকিল নিয়োগ:
দেওয়ানী মামলায় বিবাদীকে সরকার কর্তৃক উকিল নিয়োগ দেওয়া হয়না।তাকে নিজ খরছে উকিল নিয়োগ দিতে হয়।এবং উকিল নিয়োগের খরছ বিবাদীকেই বহন করতে হয়।
কুন্তু ফৌজদারী মামলার ক্ষেত্রে বিবাদীর যদি উকিল নিয়োগ দেওয়ার ক্ষমতা ব্যসামর্থ না থাকে সে ক্ষেত্রে রাষ্ট্র কর্তৃক তার পক্ষে উকিল নিয়োগ দিতে হয়।
.প্রমানের মানদন্ড:
দেওয়ানী আইনের মামলা সমূহের ক্ষেত্রে রায় দেওয়ার সময় একটি নীতির প্রতি লক্ষ্য করা হয়।যাকে ইংরেজিতে বলাহয় Balance of probability.বা সম্ভব্যতার হারের প্রতি লক্ষ্য রাখা হয়।অর্থাৎ বিবাদীর অপরাধ প্রমাণ হওয়ার সম্ভবনা বেশি হতে হবে।এখানে সম্ভবনার ভিত্তিতে বিচারকগণ সাক্ষী কর্তৃক উপস্থাপিত বক্তব্যের আলোকে তাদের রায় প্রদান করে থাকেন।
অন্যদিকে ফৌজদারী মামলার ক্ষেত্রেও একটি নীতির প্রতি লক্ষ্য রাখা হয়। যাকে ইংরেজিতে বলা হয় Beyond resonable doubt বা সন্দেহের উর্ধ্বে ওঠা।অর্থাৎ অপরাধী কর্তৃক সংঘটিত অপরাধ যখন সন্দেহের উর্ধ্বে উঠে প্রমানিত হবে তখন বিচারকগণ মামলার রায় প্রদান করবেন।

ফৌজদারী আদালতের শ্রেণিবিভাগ গঠন:
উপস্থাপনা:অপাধের প্রকৃতি গুরুত্ব বিবেচনা করে বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের আদালত ব্যাবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত হচ্ছে সুপ্রিমকোর্ট।  গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংবিধানের ১৪৪ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সুপ্রিমকোর্ট ব্যতীত আইনের দ্বারা  যেরূপ প্রতিষ্ঠিত হবে সেরূপ অন্যান্য অধস্তন আদালত থাকবে।ফৌজদারী কর্যবিধির ধারা অনুযায়ী বলা হয়েছে যে হাইকোর্ট বিভাগ আপিল বিভাগের সমন্বয়ে  গঠিত সুপ্রিমকোর্ট এবং অন্য কোন আইন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত আদালত ছাড়াও বাংলাদেশে শ্রেণির ফৌজদারী আদালত থাকবে।
নিম্নে সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা উপস্থাপন করা হলঃ-
. দায়রা আদালত
.মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট
.প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট
.দ্বিতীয় শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট
.তৃতীয় শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট

 দায়রা আদালতঃ  
ফৌজদারি কার্যবিধির ধারায় বলা হয়েছে বাংলাদেশে কিছু  ফৌজদারি আদালত বিভাগ থাকবে এবং বিভাগের আওতায় প্রতিটি জেলায় একটি করে দায়রা আদালত বিভাগ অথবা প্রত্যেক দায়রা বিভাগে একাধিক জেলা থাকবে। সরকার এরূপ বিভাগ জেলার সীমারেখা অথবা সংখ্যার পরিবর্তন  করতে পারবেন। মেট্রোপলিটন এলাকার জন্য দায়রা আদালতকে মেট্রোপলিটন দায়রা আদালত বলা হবে।
ফৌজদারি  কার্যবিধির ধারার বলা হয়েছে প্রত্যেক দায়রা বিভাগের জন্য সরকার একটি দায়রা আদালত স্থাপন করবে। এবং আদালতে একজন দায়রা জর্জ নিয়োগ করবে। মেট্রোপলিটন এলাকার দায়রা আদালতকে মেট্রোপলিটন দায়রা আদালত বলা হয়।
আদালতের দায়িত্ব পালনের জন্য সরকার অতিরিক্ত এক বা একাধিক ব্যক্তিকে অতিরিক্ত বা সহকারী জর্জ হিসেবে নিয়োগ দিতে পারবেন।প্রত্যেক দায়রা বিভাগে একজন দায়রা জর্জ এক বা একাধিক সহকারী বা অতিরিক্ত সহকারী দায়রা জর্জ থাকবে।
বাংলাদেশের তিনটি পাবর্ত্যজেলা ব্যতীত ৬১ টি জেলায় বর্তমানে ৬১ টি দায়রা জর্জ আদালত রয়েছে।রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবানের জন্য চট্টগ্রাম দায়রা বিভাগ দায়িত্ব পালন করে।
দায়রা জর্জদের বিচারঃ
দায়রা জর্জরা সংশ্লিষ্ট দায়রা বিভাগে দায়রা আদালতে বিচার্য, যে কোন ফৌজদারী মামলার বিচার করার এবং ফৌজদারী কার্যবিধির ৩২ নং ধারার উপধারার বিধাব বলো আইন অনুমোদিত যে কোন দণ্ড প্রদানের ক্ষমতা রাখেন দায়রা জর্জরা।তবে দায়রা আদালতে মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন আদেশ প্রদান করলেতা কার্যকর করা ক্ষেত্রে হাইকোর্ট বিভাগের অনুমোদন প্রয়োজন হয়।
অতিরিক্ত দায়রা জর্জরা শাস্তি প্রদানের ক্ষেত্রে দায়রা জর্জদের ক্ষমতা রাখেন।
কিন্তু সহকারী দায়রা জর্জরা ফৌজদারিী কার্যবিধির ৩১ ধারার উপধারার বিধান বলে মৃত্যুদণ্ড অথবা দশ বছরের বেশি কারাদণ্ড ব্যতীত আইন অনুমোদিত যে কোন দন্ড প্রদান করতে পারেন।
প্রথম দ্বিতীয় তৃতীয় শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতঃ-
ফোজদারী কার্যবিধির ১২ ধারায় বলা হয়েছে যে,মেট্রপলিটন এলাকার বাহিরে যে কোন জেলায় জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ব্যাতীত সরকারের প্রয়োজন অনুযায়ী ১ম ২য় ৩য় শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করতে পারেন।এবং বিধি অনুসারে তাদেরকে যে ক্ষমতা প্রদান করা হবে সরকার অথবা সরকারের নিয়ন্ত্রন সাপেক্ষে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সময়ে সময়ে তা প্রয়োগের স্থানীয় এলাকা নির্ধারণ করে দিতে পারেন।
১ম ২য় ৩য় শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেটের বিচারের শাস্তিঃ-
একজন প্রথম শ্রেনির ম্যাজিস্ট্রেট মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন বা ১০ বছরের অধিক শাস্তি হতে পারে এমন অপরাধ ব্যতীত অন্য সকল অপরাধের বিচার করতে পারেন। ৩২ এর ধারা অনুযায়ী একজন প্রথম শ্রেনির ম্যাজিস্ট্রেট কারাবাসসহ অনাধিক বছরের কারাদণ্ড অথবা ১০ হাজার টাকা জরিমানার করতে পারে। কিন্তু ১০ বছরের অধিক শাস্তি হতে পারে এমন ব্যক্তির বিচার করতে পারেনা।
২য় শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটঃ তিনি বছরের অধিক অথবা হাজারের বেশি টাকার জরিমানার করতে পারেন না।
৩য় শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটঃ  তিনি বছরের অনাধিক অথবা হাজার টাকার বেশি জরিমানা করতে পারেন না।
মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতঃ
ফৌজদারী কার্যবিধির ১৮ ধারার বিধান মতে সরকার মেট্রোপলিটন এলাকার জন্য একজন চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এবং অন্য যেরূপ সংখ্যক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা প্রয়োজন মনে করেন সেরূপ নিয়োগ করতে পারেন।সরকার প্রয়োজন মনে করলে সে এলাকায় এক বা একাধিক অতিরিক্ত চিফ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করতে পারেন।
দন্ড প্রদানের ক্ষমতাঃ-
অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটগণ ফৌজদারী কার্যবিধির ১৮ ধারা অনুযায়ী বর্তমানে বলবৎযোগ্য অন্য আইন অনুসারে সরকারের নির্দেশ মত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের সকল বা যে কোন ক্ষমতা প্রাপ্ত হবেন।সরকা ফৌজদারী কার্যবিধি অনুযায়ী কোন বিশেষ মামলা বা বিশেষ শ্রেণীর মামলা সমূহ সম্পর্কে অথবা মেট্রোপলিটন এলাকার বা এর কোন অংশের সাধারণ মামলা সমূহ সম্পর্কে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের সকল বা যে কোন ক্ষমতা যে কোন ব্যাক্তিকে অর্পন করতে পারবেন।ফৌজদারী কার্যবিধির ২১ ধারায় বলা হয়েছে যে চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তার অধিক্ষেত্রের স্থানীয় সীমার মধ্যে কার্যবিধি বা বর্তমানে বলবৎযোগ্য অন্য কোন আইন অনুসারে তাকে বা কোন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রদত্ত সকল ক্ষমতা প্রয়োগ করবেন।

[Reference]
Md. Abdul Halim, Text Book on Code of Criminal Procedure, 3rd Edition (Dhaka 2015)
Dr. Md Aktarujjaman,Interpretion of Statutes and General Clauses Act along with Interpretation of Contract and Deeds,1st Edition (Dhaka 2009)
Wikipedia & Google