Tuesday, September 10, 2019
সুকর্ণ মধ্যক- শেখ রফিকউজ্জামান
চারদিকে ফার্স্ট বেঞ্চার আর ব্যাক বেঞ্চারদের সাফল্যগাথা আর জয়জয়কার দেখে আমি প্রতিদিন পণ করি যে ফার্স্ট বেঞ্চার ত হতে পারবো না। তবে এখন থেকে আমি ব্যাক বেঞ্চার হবো। তাই ত প্রতিদিন ঘুমের বাহানা দিয়ে ইচ্ছে করে নয়টার ক্লাস মিস দিই আর ষোলশহর থেকে নয়টা পঁয়তাল্লিশ এর ট্রেনে করে আস্তেধীরে ক্যাম্পাসে যায়। তারপর ক্যান্টিনে আরাম করে ২৮ টাকা দিয়ে সবজি খিচুড়ির সাথে আলাদা করে কোপতা নিয়ে খাই এরপর চায়ের কাপে ঝড় তুলে ( চা টা মাঝেমধ্যে কঞ্জুস আসাদ না হয় সাকিব স্পনসর করে) । চায়ের কাপের তলানির অবশিষ্ট অংশটুকু চুকচুক করে পান করে ক্লাসে যাওয়ার প্রয়োজন অনুভব করি। এই যে আমার ক্লাসে যাওয়া এর পেছনে কিন্তু এক এবং অনন্য উদ্দেশ্যই জড়িত আর সেটি হচ্ছে আমাকে ব্যাক বেঞ্চার হতে হবে৷ কিন্তু ক্লাসে প্রবেশ করতেই আমার সকল আশা হতাশায় পরিণত হয়। তখনি আমি বুঝতে পারি যে আমি এখনো খরগোশ আর কচ্ছপের গল্পের অহংকারী অথচ বোকা খরগোশটিই রয়ে গেলাম। এ কথা কেন বলছি জানেন??? কারণ হল আমি ক্লাসে প্রবেশ করলেই দেখতে পাই ইতোমধ্যে ক্লাসের প্রথম এবং শেষের অংশ পূরণ হয়ে গেছে৷ অবশিষ্ট আছে শুধুই মধ্যাংশটুকু। দীর্ঘ এক নিঃশ্বাস ফেলে আমি এক রাশ বেদনা নিয়ে মাঝের কোন এক জুতসই বেঞ্চ দেখে বসে পড়ি।
জিইইই হ্যা এটাই হলো একজন মধ্যম পর্যায়ের ছাত্রের গল্প। জানেন এই মধ্যম পর্যায়ের ছাত্ররা না সবকিছুতেই মধ্যম হয় ; সবকিছু বলতে সবকিছুতেই। এরা পরীক্ষায় কোনরকম টেনেটুনে তেত্রিশ পেয়ে নিশ্চিত ফেলের হাত থেকে বেঁচে গিয়ে পাশ করা ব্যাক বেঞ্চার এর মতো আনন্দে আত্নহারাও হতে পারে না কিংবা ১০০ তে এক নম্বর কম পেয়ে অর্থাৎ ৯৯ পাওয়ার কারণে ফার্স্ট বেঞ্চার এর মতো কেঁদে বুক ভাসাতেও পারে না। এরা সবসময় দ্বিধায় আক্রান্ত৷ আমি বাপু অদৃষ্টবাদী মানুষ তাই ত নিজের ব্যর্থতা গুলোকে ভাগ্য বলে দায় এড়ায়
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
অনেক সুন্দর হয়েছে😍
ReplyDeleteভবিষ্যত সাহিত্যিক❤
ReplyDelete